মফিজ উদ্দিন তালুকদার।। আওয়ামীলীগের দুর্দিনে রাজপথ কাঁপানো বারবার কারা নির্যাতিত নেতা আলহাজ্ব অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু।
তিনি একজন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান।
নব্বই দশকের স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো কারাভোগী সাবেক ছাত্র নেতা ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু।
তিনি ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনজরীপে সকলের শীর্ষে অবস্থান করছেন।
ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ১৯৭৮-৭৯ সনে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজপথ কাঁপানো নেতা হিসেবে প্রথম গ্রেফতার হন তিনি।
১৯৮২ সনে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন এই নেতা। ১৯৮৬-৮৭ সনে আনন্দমোহন কলেজের জিএস পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হন।
১৯৮৭ সনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৯ -৯০ সনে দ্বিতীয় বারের মতো ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে, ১৯৯০-১৯৯১ সনে বিএনপি’র শাসনামলে আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি হিসেবে জয়লাভ করেন।১৯৯৩ সনে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর বিএনপি-জামাত সরকারের বিভিন্ন অন্যায় ও জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কারণে কথিত সন্ত্রাস দমন আইনের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। তাঁকে গ্রেফতার ও অমানবিক নির্যাতনের পর প্রহসন মূলক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ ৮ বৎসরের কারাদণ্ড প্রদান ও জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। উক্ত কথিত সন্ত্রাস দমন আইনে বাংলাদেশে গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে প্রথম গ্রেফতার ও গ্রেপ্তারের ২৩ দিনের মধ্যে বিনা স্বাক্ষীতে তার উপর প্রথম রায় প্রয়োগ করা হয়।
তিনি ১৯৯৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।১৯৯৮ সনে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৬ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
২০১৮ সালে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কর্মসূচি গুলো বাস্তবায়নে সার্বক্ষনিক শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।
২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তখন মনোনয়ন পাননি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সবসময় আনুগত্য ছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মনোনীত হয়ে বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সর্বদায় জনগণের নিকট সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্কুল জীবনে প্রথমবার রাজনৈতিক কারণে কারাবরণ, ১৯৭৫ পরবর্তীতে তৎকালীন জিয়াউর রহমান ও বিএনপি -জামাত জোট সরকারের আমলে এবং ১৯৯০ এর স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহুবার কারাবরণ করেন এবং অর্ধশত রাজনৈতিক মামলা মোকাবিলা করেন।
২০০১ -২০০৬ এর বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক কারণে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে একপর্যায়ে তাঁকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
কিন্তু কখনো শেখ হাসিনার নির্দেশ ও আদর্শ থেকে সরে দাঁড়াননি তিনি। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় প্রতিবাদী রাজপথের লড়াকু সৈনিক আলহাজ্ব অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু।
২০০৪ সনের ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও ১/১১ এর মাইনাস ফরমুলাকে প্রতিহত করতে ময়মনসিংহের মা মাটি-মানুষের নেতা ও প্রাণ পুরুষ সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন অধ্যাপক জিলু।
ময়মনসিংহ মহানগরের হামিদ উদ্দিন রোডের বাসিন্দা তিনি। তাঁর পিতার নাম মরহুম এডভোকেট তফিল উদ্দিন আহমেদ ও মাতা মরহুমা আজিজুন নেসা। তার পিতা তফিল উদ্দিন আহমেদ আইন পেশার পূর্বে ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। একজন দক্ষ আইনজীবি ও আদর্শ শিক্ষক পিতার সন্তান হিসেবে অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু পিতার আদর্শ ধরে রেখে ভাষাসৈনিক মরহুম শামসুল হক এমপি’র প্রতিষ্ঠিত তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছেন । তাঁর উপার্জনের সিংহভাগ টাকা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে সংগঠনের কাজে ব্যায় করেছেন। দল তার জন্য কি করেছে,সেটা বিবেচ্য নয়, তিনি দলের জন্য কি করেছেন -এমনটাই বেশি প্রাধান্য দিয়ে সন্তুষ্ট থাকতেন এই ত্যাগী নেতা গোলাম ফেরদৌস জিলু।
আজীবনের ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা গোলাম ফেরদৌস জিলুকে আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। সকলের ধারণা নির্লোভ নিরহংকার সাদা মনের এই মানুষ আলহাজ্ব অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ময়মনসিংহবাসী জেলার উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডের সুফল পাবেন।
ময়মনসিংহের সাধারণ জনগণ জানায়,জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর যে ধরণের রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক পরিচিতি, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও শিক্ষিত-মার্জিত হতে হয় – সেই সব গুনের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তি তিনি।
তিনি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এবং সেসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত সহযোগিতার হাত বাড়াতে তাঁর কোন কৃপণতা নেই ।
জন জরিপ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও মানুষের সাথে মিশে একজন সেবক হিসেবে সকল গরীব, দুখী মানুষের পাশে থেকে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন ক্লিন ইমেজের এই প্রার্থী। দলীয় নেতা কর্মী থেকে শুরু করে তৃনমূল পর্যন্ত সকলের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক । দলীয় নেতা কর্মীরা মনে করেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু কে মূল্যায়ন করা হলে দল যেমন সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হবে পাশাপাশি তৃনমুল নেতা কর্মীরা পাবে সঠিক মূল্যায়ন, ভোটাররা পাবে তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সেবা।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কে রুপায়িত করে আসছেন।
সত ও নির্ভীক এবং কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে
এই জেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়নের সঠিক তদারকি করার জন্য তিনিই একমাত্র জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য।
জীবনের মূল্যবান সময় টুকু তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার পিছনে কাজ করে যাচ্ছেন ।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে আবারও ক্ষমতায় আনতে এই জেলায় নৌকার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন।
বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা গোলাম ফেরদৌস জিলুকে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করবেন,এমনটাই সকলের প্রত্যাশা ।
Leave a Reply