মফিজ উদ্দিন তালুকদার ।। ময়মনসিংহের আওয়ামী রাজনীতির রাজপথের এক সংগ্রামী ও ত্যাগী নেতার নাম অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু। তিনি একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তিনি পরিবার থেকেই আওয়ামী রাজনীতির শিক্ষা অর্জন করেছেন। ছাত্র জীবনে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তিনি প্রথম কারানির্যাতনের শিকার হন।পরবর্তীতে ১৯৯০ সনে স্বৈরশাসকের আমলে তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে সন্ত্রাস দমন আইনের মিথ্যা মামলায় তাকে কারাবন্দী করা হয়। এই আইনে উক্ত মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের প্রথম কারাভোগী ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।
জানা যায়,গ্রেপ্তারের পর মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে বিনা স্বাক্ষীতে তাকে ৮ বৎসরের জেল দেয়া হয়। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে শিক্ষকতা শেষে অবসরে আছেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে সময় দিয়ে থাকেন।ময়মনসিংহ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু দলীয় কার্যালয়ে না আসলে কার্যালয় জমে ওঠেনা, এমনটাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভিমত।
বর্তমানে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৭ অক্টোবর স্থানীয় এই সরকারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে ময়মনসিংহের প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা জানান দিতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনে আলোচনায় প্রার্থীদের মাঝে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এই ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে ছাত্র রাজনীতি করেছেন।আওয়ামী রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি জীবনে বারবার কারা বরণ করেছেন। তবু পিছপা হননি তিনি। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছেন। তিনি ময়মনসিংহের আওয়ামী রাজনীতির রাজপথের সংগ্রামী সিংহ পুরুষ।
জীবদ্দশায় আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে আওয়ামী লীগের ছায়াতলেই তার অবস্থান। এরই মধ্যে শিক্ষিত, মার্জিত ও ভদ্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন তিনি।
ময়মনসিংহের সাধারণ জনগণ জানায়,জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর যে ধরণের রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক পরিচিতি, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও শিক্ষিত-মার্জিত হতে হয় – সেই সব গুনের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তি তিনি।
জন জরিপ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও মানুষের সাথে মিশে একজন সেবক হিসেবে সকল গরীব, দুখী মানুষের পাশে থেকে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন ক্লিন ইমেজের এই প্রার্থী। দলীয় নেতা কর্মী থেকে শুরু করে তৃনমূল পর্যন্ত সকলের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক । দলীয় নেতা কর্মীরা মনে করেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু কে মূল্যায়ন করা হলে দল যেমন সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হবে পাশাপাশি তৃনমুল নেতা কর্মীরা পাবে সঠিক মূল্যায়ন, ভোটাররা পাবে তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সেবা।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কে রুপায়িত করে আসছেন।
সত ও নির্ভীক এবং কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে
এই জেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়নের সঠিক তদারকি করার জন্য তিনিই একমাত্র জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য।
জীবনের মূল্যবান সময় টুকু তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার পিছনে কাজ করে যাচ্ছেন ।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে আবারও ক্ষমতায় আনতে এই জেলায় নৌকার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন।
বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা গোলাম ফেরদৌস জিলুকে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করবে এমনটাই তৃণমূল বিশ্বাস করে।
Leave a Reply