ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘির পাশের ভুট্টাক্ষেতে হরিপুর উপজেলার অটোরিকশা চালক সাইফুল হত্যাকাণ্ড ঘটনায় তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়,ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা রামরাই দিঘি পাশে ভূট ইজিবাইক চালক সাইফুল্লাহ (১৫) হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে।সে সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন,পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র (ডিআইও-১) ডিএসবি মোঃআব্দুল মতিন প্রধান,হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃতাজুল ইসলাম।
এ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,চলতি বছরের ৪ মার্চ রাণীশংকৈল থানার রামরাই দীঘি নামক স্থানে একটি ভুট্টা ক্ষেতে প্লাস্টিকের চিকন সুতলি দিয়ে হাত পা অবস্থায় অজ্ঞাত একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে একটি কু-লেস মামলা রজু হয় রানীশংকৈল থানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে মরদেহটি ইজিবাইক চালক মোঃসাইফুল্লাহ (১৫) এর মরদেহ।মামলার ছাঁয়া তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা বিভাগকে।গোয়েন্দা বিভাগ,রানীশংকৈল থানা পুলিশ ও হরিপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তদন্ত শুরু করে।
তার আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হরিপুর থানায় ইজিবাইক চুরির একটি মামলায় পুলিশ জানতে পারে যে,হরিপুর থানার ধীরগঞ্জ বাজার এলাকায় রাকিব (১৫) নামে এক ইজিবাইক চালককে প্লাস্টিকের চিকন সুতলি দিয়ে হাত পা বেঁধে মুখে রুমাল দিয়ে রাস্তার পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে ইজি বাইক নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা।
পরে রাকিবের বাবার কাছে ফোন দিয়ে ইজিবাইক ফেরত দেওয়ার নাম করে হিমু নামে এক ব্যক্তি ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।পরে রাকিবের পিতা ঐ চক্রটিকে ১৫ হাজার টাকা দিলেও রাকিবের সন্ধান পেলেও ইজিবাইকটি ফেরত পাওয়া পায়নি।পুলিশ তদন্তে দেখতে পায়,রাণীশংকৈলের ইজিবাইক চালক মোঃসাইফুল্লাহ ও হরিপুরের ইজিবাইক চালক রাকিবকে একই ভাবে প্লাস্টিকের চিকন সুতলি দিয়ে হাত পা বেঁধে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছিল।পুলিশ জানতে পারে উভয় ঘটনা একই চক্রের কাজ ধারনা থেকে রাকিবের পিতার নিকট চাঁদা দাবিকারী হিমুকে আটক করা হয়।এর পর থেকেই বেরিয়ে আসে সাইফুল্লাহ হত্যা ও রাকিবের অটো চুরির ঘটনায় জড়িতদের নাম।পরে গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে উভয় ঘটনায় তারা জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
এ হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃতরা হলেন,রাণীশংকৈল উপজেলার মো: মেহেদী হাসান (১৮),মো: আব্দুল কাদের (৩০),মোঃসাদেকুল ইসলাম ওরফে মোজাম্মেল হক মজু (২৪), মো: সজল (২৪),মো: মহিরুল ইসলাম (৪০),মোঃমাহবুবু হোসেন (২০), মোঃনুর আলম ওরফে মংলা(১৯),মোঃমামুন ওরফে বোবা (১৮),মোঃসোহেল রানা(১৮) ও মোঃ ইমরুল কায়েস ওরফে ইমু(২৬)।১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত হত্যাকারী আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply