ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।। এক সময়ে স্বামী দ্বারা স্ত্রী ও তাহার পরিবারের লোকজন নির্যাতিত হতো,যার ফলে দেশে নারী নির্যাতন আইন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ও স্বামীর পারিবারের লোকজন নির্যাতিত হচ্ছে।এদেশে পুরুষ নির্যাতনের আইন না থাকায় নারীরা বেপরোয়া হয়ে পুরুষ নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে,এ যেন বলার কেউ নেই।
এমনই একটি পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের রঘুরামপুর টানপাড়া এলাকায়।
জানা গেছে,ময়মনসিংহ সিটিকর্পোরেশন এলাকার শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর টানপাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র রাজমিস্ত্রী আজিজুল হক বিয়ে করেছেন একই জেলার পার্শ্ববর্তী তারাকান্দা উপজেলার বিশকা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের শাহজাহানের কন্যা সুমিতা আক্তারকে। বৈবাহিক জীবনে আজিজুল-সুমিতা দম্পতির ৪ সন্তান রয়েছে। এক কন্যা ও ৩ পুত্র সন্তান। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দ্বারা বহুবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আজিজুল। তবু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিরবে সহ্য করে চলছেন তিনি। দিনমজুর স্বামীর কষ্টে উপার্জিত টাকা বাবার বাড়িতে পাচার করে থাকে স্ত্রী। কিছু বললেই স্বামীর উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। স্বামীর ঘরে থেকে নিজের ভাইকে বিভিন্ন সমিতি থেকে তুলে দেয় মোটা অংকের টাকার লোন।
নির্যাতিত স্বামীর ভাষ্যমতে,ময়মনসিংহের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সমিতি হতে ঋণ নিয়ে তার ভাইকে ব্যবসা করার জন্য টাকা দেয় স্ত্রী সুমিতা আক্তার। এ ব্যাপারের সমিতির কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করেন। এই নিয়ে হয় কথার কাটাকাটি,এক পর্যায়ে গত ১২/০৪/২৪ ইং তারিখ সকাল ১০টায় আজিজুল হকের শ্বশুরের হুকুমে স্ত্রী-সন্তান ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে দেহের বিভিন্ন স্থানে দারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে আজিজুলের দেহ। আজিজুলকে দ্রুত নেয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর অপরদিকে তার স্ত্রী সুমিতা আক্তারসহ সন্তানদের নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ১২৬ ধরাসহ আরো বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন আজিজুল। স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ১০৭ ও ১১৭ ধারাও মামলা করেছিলেন তিনি । এছাড়া বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট নালিশ করে বিচার পাননি তিনি।
আসলে এসমাজ নারীদের প্রতি গুরুত্ব দিয়েই নারীর পক্ষ নিয়েই বিচার করে থাকে। এ দিকে স্ত্রীর নির্যাতনে তুষের আগুনের মতো জ্বলছে আজিজুলের হৃদয়। শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তানকে আনতে গেলে অমানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসতে হয় আজিজুলকে।
অপরদিকে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক সমিতি কর্তৃক ঋণ আদায়ের জন্য আদালতের চলমান মামলার হাজিরা আাগামী ২-০৭-২৪ তারিখে। হাজিরা না দিলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার কথা আজিজুলের স্ত্রী বিরুদ্ধে ।
আজিজুলকে মারধোর করার দায়ে
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় শ্বশুর মোঃ শাহজাহান,স্ত্রী সুমিতা আক্তার, স্ত্রীর ভাই হুমায়ুন কবির জুলমত’কে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যপারে আইনি ও প্রশাসনিক সহযোগীতা কামনা করছেন নির্যাতনের শিকার অসহায় রাজমিস্ত্রী আজিজুল।
Leave a Reply